শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা সাবেক জেষ্ঠ্য সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সন্ত্রাসবিরোধী একটি মামলা তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তাকে যাত্রাবাড়ীর কাজলার পার হতে আটক করে ডিবি। সে দোহারের দক্ষিণ জয়পাড়ার খাড়াকান্দা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। শফিকুল ইসলাম সেন্টু একসময় দোহার থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শফিকুল ইসলাম সেন্টু এলাকায় একজন পীর সেন্টু নামে পরিচিতি। তার অনেক অনুসারী ও ভক্ত রয়েছে। দোহারের ইসলামপুর এলাকায় রয়েছে তাঁর পীরের আস্তানা। ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও সেন্টু ছিলো দলের কাছে অনেকটাই কোণঠাসা। দোহার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আমলেরই ৬টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের গ্রুপের উপর হামলা করে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এরপর থেকে আর দলীয় কোনো পদ পাননি তিনি। তবে সেন্টুর সাথে তার দলীয় লোক তরুণদের একটি অনুসারী গ্রুপ থাকায় তিনি সর্বদাই দোহারের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন। স্থনায়ী বিচার শালিসী ও গ্রাম্য মিমাসার কাজে তাঁকে ডাকতো সবাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জেষ্ঠ্য নেতা বলেন, শফিকুল ইসলাম সেন্টুর বেশ প্রভাব ছিলো। গত ১৫ বছরে তার কোনো পদপদবী না থাকলেও প্রভাব ছিলো অনেক। উপজেলা সদরে বাড়ী থাকায় এবং দলের একটা যুবক গ্রুপ তার সাথে থাকাতে সবাই ভয় পেতো। স্থানীয় কোনো সিনিয়র নেতাই তার সামনে কথা বলতো না। তবে ২০১৮ সালের রাতের ভোটে সালমান এফ রহমান দোহার নবাবগঞ্জের এমপি হলে সেন্টু কিছুটা সক্রিয় হয় রাজনীতিতে। পেশীশক্তির কারণে সেন্টুকে ব্যবহার করলেও কোনো রাজনৈতিক পদে তাঁকে অর্ন্তভূক্ত করেননি সালমান এফ রহমান ও তার অনুসরারিরা।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী বলেন, সেন্টু দোহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে মদদ দিতো। তাঁর নামে দোহার থানায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেরই ৬টি মামলা রয়েছে। দোহার থানা পুলিশও তাঁকে গ্রেপ্তারে একাধিবার অভিযান করেছে।